বাজারে এখন নানারকম মোড়কে মধু পাওয়া যায়, আবার পথঘাতেও ফেরি করে বিক্রি হতে দেখা যায়। কিন্তু এই ভেজালের ভিড়ে আসল জিনিসটি চিনে নেওয়া বেশ মুশকিল। তবে কিছু সাধারণ ঘরোয়া পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি সহজেই আসল ও নকলের তফাত বুঝতে পারবেন। যেমন, একটি ম্যাচের কাঠি মধুতে ডুবিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করুন; যদি কাঠিটি সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠে, তবে বুঝবেন মধু খাঁটি। আর যদি না জ্বলে, তবে ধরে নেওয়া যায় তাতে ভেজাল রয়েছে। আরেকটি সহজ উপায় হলো ভিনেগার পরীক্ষা। পানিতে সামান্য মধু ও কয়েক ফোঁটা ভিনেগার মেশালে যদি ফেনা তৈরি হয়, তবে সেই মধুর মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এছাড়া কাঁচা খাঁটি মধুর ওপর অনেক সময় সাদা ফেনা বা বুদবুদ জমতে দেখা যায়, যা মূলত রাসায়নিকহীনতার লক্ষণ।
মধুর ঘনত্ব নিয়েও অনেকের মনে ভুল ধারণা থাকে। অনেকেই মনে করেন মধু মানেই খুব ঘন হতে হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মধুর ঘনত্ব নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। সুন্দরবনের আবহাওয়া আর্দ্র এবং সেখানকার গাছগুলোর শ্বাসমূল পানির নিচে থাকে বলে সুন্দরবনের খাঁটি মধু প্রাকৃতিকভাবেই কিছুটা পাতলা হয়। অন্যদিকে পাহাড়ি অঞ্চলের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে সেখানকার মধু বেশ ঘন হয়। আসল মধু ফ্রিজে রাখলে কখনোই জমে যায় না বা দানা বাঁধে না, তরল ভাবটাই বজায় থাকে। কিন্তু ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখলে স্ফটিকের মতো দানা বা ওপরে চিনির সাদা স্তর পড়ে যেতে পারে।
দি হানি হোল: একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি
মধু নামের সঙ্গে মিল রেখে ব্যবসার জগতেও পরিবর্তন আসছে। সাউথ বিজনেস ড্রাইভে অবস্থিত অ্যান্টিক বা শৌখিন সামগ্রীর দোকান ‘দি হানি হোল’ তাদের ব্যবসার ইতি টানতে যাচ্ছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর দোকানটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। বিদায়লগ্নে গ্রাহকদের জন্য তারা বিশেষ ছাড়ের আয়োজন করেছে।
দোকানটি তাদের অধিকাংশ পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। তবে এই ছাড়ের আওতাভুক্ত নয় জিউকবক্স, ক্যাশ রেজিস্টার, পুরনো কয়েন বা কাগজের নোট। এছাড়াও খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফযুক্ত স্মারক এবং পোকেমন কার্ডের মতো সংগ্রাহক আইটেমগুলোও এই ছাড়ের বাইরে থাকবে। যারা অ্যান্টিক জিনিস পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই সুযোগটি হয়তো শেষবারের মতো আসছে।
খাবারের টেবিলে নতুন চমক
ডিসেম্বর মাস মানেই ছুটির আমেজ আর ভুরিভোজের প্রস্তুতি। থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে যায় বড়দিনের আয়োজন। রান্নাবান্নার ঝক্কি কমাতে অনেকেই সহজ অথচ সুস্বাদু খাবারের খোঁজ করেন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ‘দ্য হানি বেকড হ্যাম কোম্পানি’ তাদের মেন্যুতে বড়সড় পরিবর্তন এনেছে, যা গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের জনপ্রিয় হ্যামের পাশাপাশি এবার ‘হানিবেকড প্রাইম রিব’ বাজারে আনছে। এতকাল তাদের তৈরি হ্যাম শুধুমাত্র গরম করে পরিবেশন করলেই চলত, যা ছিল ভোজনরসিকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এখন সেই একই সুবিধায় প্রাইম রিব পাওয়া যাবে, যা ছুটির দিনের রান্নার ঝামেলা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। শীতের ছুটিতে টার্কি বা মাছের পাশাপাশি যারা খাবারে ভিন্নতা খুঁজছেন, তাদের জন্য এই নতুন সংযোজনটি বেশ লোভনীয় হতে পারে।










